Monday, March 30, 2015

এটিএম থেকে নকল টাকা পেলে কী করণীয়?

এটিএম থেকে নকল নোট বেরচ্ছে। এমন ঘটনার মুখোমুখি হলে আপনি কী করবেন? নকল নোট হাতে আসা মাত্র প্রথমেই এটিএম কাউন্টরের সিকিউরিটি গার্ডের কাছে সোজা চলে যান। সবটা জানিয়ে তাঁর রেজিস্টারে কমপ্লেন লেখান। পারলে গার্ডকে দিয়ে সই করিয়ে তার একটি নকলপত্র যোগাড় করে রাখুন। সমস্ত নথি নিয়ে এরপর থানায় গিয়ে আবার কমপ্লেন লেখান। এবং যে ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে নকল নোট পাওয়া গিয়েছে সেই ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।



ব্যাঙ্কে গিয়ে আপনার প্রথম কাজ হবে নোটটা যে নকল সেই স্ট্যাম্প ব্যাঙ্ক থেকে লাগানোব্যাঙ্ক এরপর সমস্তটা রেজিস্টারে রেকর্ড করে আপনাকে একটি রসিদ দেবে। এবং প্রশাসনের সাহায্যে এটিএম থেকে এই ধরনের জাল নোট বেরনো বন্ধ করে দেবে। অতিরিক্ত সাবধানতার জন্য সবশেষে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ইস্যু ডিপার্টমেন্টকে
বিস্তারিতভাবে সবটা জানিয়ে চিঠি লিখতে পারেন।

যেসবকারণে রাতজাগা মানুষেরা সবার চাইতে আলাদা এবং বুদ্ধিমান

দিনেরবেলায় কাজে ব্যস্ত থাকি আমরা সবাই। ধরে নেই দিনের আলো ছাড়া কাজ করা কষ্টহবে। কিন্তু আসলে কি তাই? আসলেই কি দিনের বেলায় কাজ ভালো হয়? নাকি রাত্রেরবেলায় মানুষের সৃজনশীলতা যায় বেড়ে, কাজে যোগ হয় নতুন মাত্রা?
চাঁদেরআলো যুগ যুগ ধরে মানুষকে দিয়ে আসছে এমন অনুপ্রেরণা, যা সূর্যের আলোয় যায়উবে। শিল্পী-সাহিত্যিকের কল্পনায় তা রঙ চড়ায়। তখন মানুষ করতে পারে এমনকিছু, চোখ ধাঁধানো দিনের আলোয় যা মনে হয় নিতান্তই অবাস্তব। এমন সব কারণেরাত্রে জেগে থাকার মত কাজ করেন তারাই, যারা রাত্রির মহিমা বোঝেন। রাতেরবেলায় কাজ করার সুবিধাকে নিজের মত করে ব্যবহার করেন তারা। তাদের আই কিউওহয়ে থাকে অন্যদের চাইতে বেশি। গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের আইকিউ বেশি তারা কমআইকিউ-এর মানুষের চাইতে রাত জাগেনও বেশি।
এর কারণ কী? কারণ হলো সাধারণ মানুষের মস্তিষ্ক রাতের বেলা ঘুমাতেঅভ্যস্ত থাকে, তাদের মস্তিষ্ক তৈরিও হয় এমনভাবে যাতে রাতের ঘুম তাদেরপ্রয়োজন হয়। কিন্তু স্বাভাবিকের চাইতে বেশি বুদ্ধিমত্তার মানুষ এই নিয়মেরশৃঙ্খলে আটকা থাকেন না বরং নিজের সুবিধামত সময়টার সদ্ব্যবহার করে থাকেন।প্রচলিত নিয়ম ভাঙার একটা অবচেতন ইচ্ছে থেকেও তাদের রাত জাগার প্রবণতা দেখাযায়।
এই গবেষণায় ২০ এর কোঠায় থাকা মানুষের আইকিউ বনাম ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার সময় হলো এমন :



কম বুদ্ধিমত্তা (IQ < 75)
কর্মদিবস রাত ১১.৪১টা থেকে সকাল ৭.২০টা
ছুটির দিন রাত ১২.৩৫টা থেকে সকাল ১০.০৯টা
সাধারণ বুদ্ধিমত্তা (90< IQ < 110)
কর্মদিবস রাত ১২.১০টা থেকে সকাল ৭.৩২টা
ছুটির দিন রাত ১.১৩টা থেকে সকাল ১০.১৪টা
বেশি বুদ্ধিমত্তা (IQ > 125)
কর্মদিবস রাত ১২.২৯টা থেকে সকাল ৭.৫২টা
ছুটির দিন রাত ১.৪৪টা থেকে সকাল ১১.০৭টা
যাদের আই কিউ ৭৫ এরও কম তারা সাড়ে ১১টার মাঝে ঘুমিয়ে পড়ে। আবার যাদের আইকিউ ১২৫ এর বেশি তারা সাড়ে বারোটার পর ঘুমাতে যায়। এটা মোটেই কোনোকাকতালীয় ঘটনা নয়। সারাদিনে যা ঘটে তা নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনা করা, তা থেকেশিক্ষা নেবার সময় হলো মধ্যরাত। শুধু তাই নয়, তারা করতে পারেন এমন কিছু কাজযা সবাই পারে না
কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যাবার মোক্ষম সময়
সারাদিন কাজের ভিড়ে, পরিবার-পরিজন বা বন্ধুদের কথার ঝলকে ছিঁড়ে যায় আমাদেরচিন্তার সুতোস্মৃতি থেকে হারিয়ে যায় অসাধারণ সব আইডিয়া। কিন্তু রাত্রিরনিরবিচ্ছিন্ন নীরবতায় তা হবার কোনো ভয় নেই। শুধু তাই নয়, এ সময়েচিন্তাভাবনা করার ক্ষেত্রে নিয়মের ভয়টা যেন যায় কমে। সাধারণের গন্ডি ছাড়িয়েচিন্তাভাবনার গণ্ডি আরও ছড়িয়ে যেতে থাকে।
তারা প্রচলিত নিয়মের ঊর্ধ্বে যেতে পছন্দ করেন
রাতজাগার ব্যাপারটাকে সব সময়ের সমাজের চোখে নিয়মের ব্যতিক্রম বলে ধরা হয়। রাতজাগা মানুষদের ভালো চোখে দেখা হয় না। কিন্তু সমাজের ধরাবাঁধা এসব নিয়মেরবাইরে যাওয়া মানুষদের মাঝেই এক সময়ে জন্মায় এমন সব বৈশিষ্ট্য, যার মাধ্যমেতারা হয়ে ওঠেন অনন্য। তাদের হাত ধরেই সমাজে আসে অনেক পরিবর্তন।
তারা হয়ে থাকেন অনেক বেশি উদার
রাত জাগা মানুষেরাএমন কিছু ব্যাপারে অভিজ্ঞতা অর্জন করে থাকেন, যা জীবনের ব্যাপারে তাদেরদৃষ্টিভঙ্গিকে আরও প্রশস্ত করে। অনেক কিছুকেই তারা নিজের অভিজ্ঞতা দিয়েবিচার করেন, কেবল নিয়মনীতি দিয়ে নয়এতে তারা হয়ে ওঠেন অন্যদের চাইতে বেশিউদার মনের অধিকারী।
তারা হয়ে থাকেন অনেক কর্মক্ষম
সকাল সকাল ঘুম থেকেউঠলে অনেক কাজ করা যায় সত্যি, কিন্তু রাত জেগে থাকলে তখনও অনেক বেশি কাজহয়ে যায় সহজেই। কোনো ঝঞ্ঝাট থাকে না তখন, কেউ বিরক্ত করতে আসে না কাজেরমাঝে। তাই কাজও হয় মসৃণ গতিতে।

Saturday, March 28, 2015

১টাকায় ৫ সেকেন্ডে ফরমালিন পরীক্ষা

মাত্র এক টাকায় ৫সেকেন্ডের মধ্যে ফরমালিন শনাক্তকরণের পদ্ধতিআবিষ্কার করা হয়েছে। পদ্ধতিটি আবিষ্কার করেছেন কৃষিবিজ্ঞানী ফারুক বিনহোসেন ইয়ামিন।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে এই ফরমালিন টেস্টার প্রযুক্তি উন্মোচন করা হয়।
খাদ্যে ফরমালিন সনাক্ত করার পদ্ধতি সম্পর্কে উদ্ভাবক ইয়ামিন বলেন, ১টিউব পরিমাণ পানি নিয়ে তার মধ্যে মাছ, ফল, সবজি ধুয়ে ফেলুন। এরপর ১ ফোঁটাফরমালিন টেস্টার (দ্রবণ) মিশিয়ে ৫ সেকেন্ড ঝাঁকুন। দ্রবণের রং হলুদ বাবর্ণহীন হলে বুঝতে হবে ফরমালিন আছে। আর দ্রবণের রং সবুজ বা নীল হলে ফরমালিননেই বলে প্রামাণিত হবে।
ফরমালিন টেস্টের খরচ সম্পর্কে তিনি বলেন, এই এক ফোঁটা ফরমালিন টেস্টার বা দ্রবণটির দাম পড়বে মাত্র ১ টাকা।
তিনি বলেন, প্রকৃত পক্ষে খাদ্যে ফরমালিনের কোনো সহনশীল মাত্রা নেই। তাই ফরমালিনযুক্ত কোনো খাবার না খাওয়ার অনুরোধ জানান।
অনুষ্ঠানে এইচ টি ইমাম বলেন, সরকারে অব্যাহত সহযোগিতার কৃষকদের প্রচেষ্টারফলে আজ দেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা লাভ করেছে। কিন্তু কিছু অসাধুব্যবসায়ীদের কারণে আমরা নির্ভেজাল খাদ্য গ্রহণ করতে পারছি না। বিষ মুক্তখাদ্য সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তবে এ কাজে সবারআগে প্রয়োজন সচেতনা।
তিনি বলেন, আমরা যদি প্রত্যেকে প্রতিজ্ঞা করি আমি ফরমালিনযুক্ত খাবার গ্রহণকরবো না। তাহলে সরকার যে ফরমালিন বিরোধী অভিযান শুরু করেছে তা অতি দ্রুতসফল হতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, এই টেস্টারের আবিষ্কারের মাধ্যমে ফরমালিন বিরোধী অভিযানে একনতুন মাত্রা যোগ হয়েছেএটি যখন মানুষের হাতে হাতে থাকবে তখন ভয়েব্যবসায়ীরা ফরমালিন মেশাবেন না।
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্যদেন ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ, আমরাই বাংলাদেশ এর কো-ফাউন্ডার আরিফ আরহোসাইন, স্বপ্ন বাংলা এগ্রো কেয়ারের লিগেল এডভাইজার এস এ আরেফিন প্রমুখ।

Wednesday, March 25, 2015

শর্টকাট ভাইরাস থেকে খুব সহজেই স্থায়ী মুক্তি পেতে চাইলে যা কিছু করবেন আপনি

হঠাৎ করে দেখলেন কম্পিউটার শর্টকাট ফাইল-ফোল্ডারে ভরে গেছে। বারবার ডিলিট করেও এ থেকে মুক্তি মিলছে না। হুটহাট অনেক ফাইল-ফোল্ডার হারিয়েও যাচ্ছে। ইদানীং এই সমস্যায় প্রায় সবাই পড়ছেন। এটি কোনো ভাইরাস নয়। এ হলো VBS Script (ভিজুয়াল বেসিক স্ক্রিপ্ট)। এ যন্ত্রণা থেকে খুব সহজেই মুক্তি পেতে পারেন। নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

CMD ব্যবহার করে
১. ওপেন CMD (Command Prompt – DOS)
২. নিচের কমান্ডটি হুবহু লিখুন
attrib -h -s -r -a /s /d Name_drive:*.*
এবার Name_drive লেখাটিতে যে ড্রাইভটি আপনি শর্টকাট ভাইরাসমুক্ত করতে চান সেটি লিখুন। যেমন: C ড্রাইভ ভাইরাসমুক্ত করতে চাইলে লিখুন attrib -h -s -r -a /s /d c:*.*
৩. এন্টার বাটন চাপুন
৪. এবার দেখবেন শর্টকাট ভাইরাস ফাইল ও ফোল্ডারগুলো স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এবার ওই ফাইল ও ফোল্ডারগুলো ডিলিট করে দিন।
.bat ব্যবহার করে
Bat
ফাইল হলো নোটপ্যাডে লেখা একটি একজেকিউটেবল ফাইল। এতে ডাবল ক্লিক করলেই চালু হয়ে যায়।
১. নোটপ্যাড ওপেন করুন।
২. নিচের কোডটি হুবহু কপি-পেস্ট করুন
@echo off
attrib -h -s -r -a /s /d Name_Drive:*.*
attrib -h -s -r -a /s /d Name_Drive:*.*
attrib -h -s -r -a /s /d Name_Drive:*.*
@echo complete.
৩. এবার Name_Drive এর জায়গায় ভাইরাস আক্রান্ত ড্রাইভের নাম লিখুন। যদি তিনটির বেশি ড্রাইভ আক্রান্ত হয় তাহলে কমান্ডটি শুধু কপি-পেস্ট করলেই চলবে।
৪. removevirus.bat এই নাম দিয়ে ফাইলটি সেভ করুন।
৫. এবার ফাইলটি বন্ধ করে ডাবল ক্লিক করে রান করুন।
৬. এবার দেখবেন আপনার শর্টকাট ভাইরাস ফাইল-ফোল্ডারগুলো সব স্বাভাবিক হয়ে গেছে। এখন সব ডিলিট করে দিন।
<a href='http://ritsllc.com/ads/server/adserve/www/delivery/ck.php?n=a1a091d0&amp;cb=INSERT_RANDOM_NUMBER_HERE' target='_blank'><img src='http://ritsllc.com/ads/server/adserve/www/delivery/avw.php?zoneid=354&amp;cb=INSERT_RANDOM_NUMBER_HERE&amp;n=a1a091d0' border='0' alt='' /></a>
এছাড়া নিচের কৌশলও নিতে পারেন
আক্রান্ত পেনড্রাইভ থেকে বাঁচতে
১. RUN এ যান।
২. wscript.exe লিখে ENTER চাপুন।
৩. Stop script after specified number of seconds: 1 দিয়ে APPLY করুন। এবার কারো পেনড্রাইভের শর্টকাট ভাইরাস আর আপনার কম্পিউটারে ডুকবে না।
আক্রান্ত কম্পিউটার ভাইরাসমুক্ত করতে
১. কী বোর্ডের CTRL+SHIFT+ESC চাপুন।
২. PROCESS ট্যাবে যান।
৩. এখানে wscript.exe ফাইলটি সিলেক্ট করুন।
৪. End Process এ ক্লিক করুন।
৫. এবার আপনার কম্পিউটারের C:/ ড্রাইভে যান।
৬. সার্চ বক্সে wscript লিখে সার্চ করুন।
৭. wscript নামের সব ফাইলগুলো SHIFT+DELETE দিন।
৮. যেই ফাইলগুলো ডিলিট হচ্ছে না ওইগুলো স্কিপ করে দিন।
৯. এখন RUN এ যান।
১০. wscript.exe লিখে ENTER চাপুন।
১১. Stop script after specified number of seconds: 1 দিয়ে APPLY করুন।

ব্যাস, আপনার কম্পিউটার শর্টকাট ভাইরাসমুক্ত। এবার পেনড্রাইভের শর্টকাট ভাইরাসও আর আপনার কম্পিউটারে ডুকবে না

জেনে নিন, ব্যক্তিগত ফোল্ডার লক করার সহজ উপায়

অনেক সময় ব্যক্তিগত কারণে ফোল্ডার লুকিয়ে রাখতে হয় আপনাকে আপনি চাইলে ফোল্ডারটি লক করে রাখতে পারেন এখন এটি করা সম্ভব বেশ কিছু সফটওয়্যারের সাহায্যে
ধরা যাক, আপনার কম্পিউটার D ড্রাইভের একটি ফোল্ডার আপনি লক করে রাখতে চান। ধরি, এই ফোল্ডারটির নাম হলো work এখন ফোল্ডারটির লক করার জন্য আপনাকে প্রথমে কম্পিউটারের ডেস্কটপে গিয়ে নোটপ্যাড খুলতে হবে


এরপর নোটপ্যাডটিতে ren wfork wfork.{21EC2020-3AEA-1069-A2DD-08002B30309D} লিখে ফাইলটি lock.bat নামে সেভ করে রাখতে হবে। এবার তৈরি হয়ে গেল কাঙ্ক্ষিত ফোল্ডারের একটি লক ফাইল
এখন আবার আরেকটি নোটপ্যাড ফাইল খুলে তাতে লিখুন ren work.{21EC2020-3AEA-1069-A2DD-08002B30309D} work এবার এই নতুন ফাইলটি সেভ করুন key.bat নামে। এটি কাঙ্ক্ষিত ফোল্ডারের আনলক ফাইল হিসেবে কাজ করবে। দুটি ফাইল কাট করে পেস্ট করে দিন কাঙ্ক্ষিত ফোল্ডারটি যে ড্রাইভে রয়েছে, সেই ড্রাইভে

এখন নামের ফাইলটিতে ক্লিক করলেই ফোল্ডারটি লক হয়ে যাবে। অর্থাৎ ফোল্ডারটি আর খোলা যাবে না। এখন ফোল্ডার যদি আবার আনলক করতে চান, তাহলে key.batনামক ফাইলটিতে ক্লিক করুন। তা হলে আবার আনলক হয়ে যাবে ফোল্ডারটি

ল্যাপটপকে যেভাবে ওয়াই-ফাই হটস্পট বানাবেন

হয়তো আপনিও এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন যেখানে কেবল একজনই তাঁর ল্যাপটপে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন আর পাশের বাকি চারজন মোবাইল বা ট্যাব নিয়ে চুপচাপ ইন্টারনেট ছাড়াই বসে আছেন! অথচ একটি নেটওয়ার্ক কেবল কিংবা একটিমাত্র ডংগল থাকলেও কিন্তু শুধু একটি কম্পিউটারেই ইন্টারনেট নয়, বরং আরও বেশ কয়েকটি গেজেটেই এই ইন্টারনেট ভাগাভাগি করে ব্যবহার করা যায়।
যেখানে শুধু একটি নেটওয়ার্কিং কেবল রয়েছে, কিন্তু ওয়াই-ফাই রাউটার নেই বলে আপনাকে চুপচাপ বসে থাকতে হয়েছে অথবা আপনার একটি থ্রিজি ডংগল রয়েছে, যাতে আপনি ল্যাপটপ ব্যবহার করেছেন কিন্তু আপনার শুধু ওয়াই-ফাই সমর্থিত ট্যাবটি অফলাইন হয়ে পড়ে রয়েছেএ ধরনের সমস্যার সঙ্গে অনেকেই পরিচিত। এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, সবার সঙ্গে ইন্টারনেট ভাগাভাগি করতে পারলে এবং রাউটার ছাড়াই অন্য ডিভাইসে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারলে সুবিধা হয় অনেকখানি। এ ধরনের পরিস্থিতিতে একটি রাউটার কেনার চেয়ে আপনার ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের ইন্টারনেট সংযোগকে ওয়াই-ফাই করে অন্য ডিভাইসে ব্যবহারের উপযোগী করতে পারেন। এ প্রক্রিয়াটি খুব বেশি কঠিন কিছু নয়, বিশেষ করে যাঁরা অ্যাপলের ম্যাক কম্পিউটার ব্যবহার করেন তাঁদের জন্য এটি খুবই সহজ। ওএসএক্স অপারেটিং সিস্টেমে ইন্টারনেট শেয়ার করার প্রক্রিয়াটি কয়েক ক্লিকেই করা যায়। তবে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীদের জন্য একটু বেশি খাটনি করতে হয়। উইন্ডোজের বিল্টইন অপশন সব সময় ঠিকমতো কাজ করে না এবং সেটআপ করাও বেশ জটিল।


উইন্ডোজ ৭, ৮ ও ৮.১ সংস্করণে ইন্টারনেট শেয়ার
বেশ কিছু অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যার সাহায্যে খুব সহজেই আপনার যন্ত্রকে ওয়াই-ফাই হটস্পট বানিয়ে ফেলতে পারেন। এ ধরনের কোনো অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করার আগে উইন্ডোজে বিল্ট ইন ইন্টারনেট শেয়ারিং সম্পর্কে জানার জন্য আপনি মাইক্রোসফটের ওয়েবসাইট থেকে একবার ঘুরে আসতে পারেন। বিল্ট ইন শেয়ারিং থেকে ইন্টারনেট শেয়ার করার অভিজ্ঞতা যদি ভালো হয়, তবে থার্ড পার্টির কোনো অ্যাপ না ব্যবহার করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা

আপনার সিভি দিয়ে মাত্র ৮.৮ সেকেন্ডেই আকর্ষণ করুন

চাকরির জন্য আপনি যত সময় নিয়েই জীবন বৃত্তান্ত বা সিভি তৈরি করেন না কেন, নিয়োগকর্তা আপনার সিভির পেছনে মাত্র ৮.৮ সেকেন্ড সময় ব্যয় করবেন। আর এ সময়ের মধ্যেই তাকে আকর্ষণ করার জন্য আপনার যাবতীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
এক জরিপে দেখা গেছে, নিয়োগকারী মাত্র ৮.৮ সেকেন্ড করে ব্যয় করে একটি সিভি দেখতে। আর এ সময়টিতেই যেন নিয়োগকারীর মন জয় করা যায়, সেজন্য কয়েকটি পরামর্শ রয়েছে এ লেখায়।
প্রথম সেকেন্ড
অধিক পাতা ব্যবহার করার পেছনে কোনো আকর্ষণ নেই। প্রথম সেকেন্ড থেকেই যেন সময়ের সদ্ব্যবহার করা যায়, সেজন্য ব্যবস্থা নিন। পাতা উল্টাতেও সময় লাগে। আর তাই পাতার সংখ্যা যতটা সম্ভব কম রাখুন। যদি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য এক পাতাতেই দেওয়া যায় তাহলে তাই করুন।
দ্বিতীয় সেকেন্ড
সনাতন পদ্ধতিই নিরাপদ। আপনি যদি অসাধারণ কোনো ডিজাইন কিংবা ধারণার প্রকাশ ঘটান, তাহলে তা বুমেরাং হতে পারে। আপনার সিভির পাঠক চট করে সিভিটি এ সময়েই বাদ দিয়ে দিতে পারেন। তাই মানসম্মত সিভির কাঠামো অনুসরণ করতে হবে।
তৃতীয় সেকেন্ড
সংশ্লিষ্ট হোন। আপনার সিভিতে ধারাবাহিকতা অনুযায়ী সঠিকভাবে চাকরির বিষয়বস্তুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আনতে হবে। যে কোনো অযাচিত বিষয়ই আপনার সিভিটি অপ্রয়োজনীয় মনে হতে পারে। আর এতে বাদ হয়ে যেতে পারে সিভিটি। তাই সিভির প্রত্যেকটি বিষয়ই হওয়া উচিত সংশ্লিষ্ট।
চতুর্থ সেকেন্ড
ভয় পেয়ে পিছিয়ে যাবেন না। ভাষায় দুর্বলতা পরিহার করুন। নিয়োগকর্তার সামনে আপনি দুর্বল নন, বরং নিজের পূর্ণ যোগ্যতা প্রকাশ করে চাকরি চাইছেন, এমনটাই প্রমাণ করুন।
পঞ্চম সেকেন্ড
মনে মনে নিয়োগকর্তার চোখ কল্পনা করুন। যেই আপনার সিভি পড়ুন না কেন, তার সামনে আপনার যোগ্যতাগুলো পরিষ্কারভাবে তুলে ধরুন। অত্যন্ত পরিষ্কার ভাষায় আপনার যোগ্যতাগুলো তুলে ধরুন, যা তারা খুঁজছেন।
ষষ্ঠ সেকেন্ড
বিচ্ছিন্ন হবেন না। চাকরির বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে আপনার যোগ্যতাগুলো তুলে ধরতে থাকুন। আপনার অভিজ্ঞতা, যোগ্যতা যা আছে সব নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ুন।
সপ্তম সেকেন্ড
আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করুন। আপনার পেশাদারী যোগ্যতায় আকর্ষণীয় কিছু বিষয় নিশ্চয়ই রয়েছে। সেগুলো সুন্দর করে তুলে ধরুন।
অষ্টম সেকেন্ড
একটি নির্দিষ্ট যোগ্যতা না থাকার কারণেও সিভি বাদ হয়ে যেতে পারে বা চাকরি নাও হতে পারে। আপনার চাকরির জন্য আরও একটি যোগ্যতা ছিল, যা লিখতে ভুলে গিয়েছেন? এ যোগ্যতারা কারণেও চাকরিটি হারাতে পারেন। তাই ভালোভাবে দেখে নিন, সবগুলো যোগ্যতা তালিকাবদ্ধ হয়েছে কি?
নবম সেকেন্ড
সময় শেষ হলো বলে। নিয়োগকর্তা সিভির শেষ অংশ দেখে সিদ্ধান্ত নিবেন, আপনার সঙ্গে যোগাযোগে কোনো সমস্যা হবে না তো? আপনার সিভির শেষ অংশে ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি ঠিকভাবে দিয়েছেন কি? ঠিকানার মাঝে মানসম্মত পেশাদারী ভাব রয়েছে কি?