জনসমক্ষে বক্তব্য দেওয়ার কাজটি এত সহজ নয়। বিশেষ
করে কোনো ব্যবসায়িক প্রেজেন্টেশনের
ক্ষেত্রে এক দল
স্মার্ট মনোযোগী মানুষের সামনে ক্রমাগত কথা বলে চলা এবং তাদের নানা কৌশলী প্রশ্নের জবাব দেওয়া চরম আত্মবিশ্বাসী মানুষের পক্ষেই সম্ভব। আবার অনেক মানুষের যোগ্যতা থাকলেও
নিয়মিত চর্চা এবং প্রস্তুতির
অভাবে
প্রেজেন্টেশনটি মনের মতো হয়ে ওঠে না। এমন মানুষদের জন্য চাই একজন এক্সপার্টের পরামর্শ।
এখানে এমন একজন এক্সপার্টের পরামর্শ দেওয়া হবে যিনি এই বিশ্বের সেরা প্রেজেন্টার বলে বিবেচিত হয়েছেন। গোটা বিশ্বের ৩৩ হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে 'ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব পাবলিক স্পিকিং' প্রতিযোগিতায় শ্রীলঙ্কার হিউম্যান রিসোর্স কনসালটেন্ট দানানজায়া হাত্তিয়ারাচ্চি সেরার মুকুট জয় করেছেন।
কুয়ালালামপুরে এই বিজয়ীর ৭ মিনিট ২০ সেকেন্ডের বক্তব্য ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। এখানে তার কাছ থেকে নিন ৫টি পরামর্শ।
এখানে এমন একজন এক্সপার্টের পরামর্শ দেওয়া হবে যিনি এই বিশ্বের সেরা প্রেজেন্টার বলে বিবেচিত হয়েছেন। গোটা বিশ্বের ৩৩ হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে 'ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব পাবলিক স্পিকিং' প্রতিযোগিতায় শ্রীলঙ্কার হিউম্যান রিসোর্স কনসালটেন্ট দানানজায়া হাত্তিয়ারাচ্চি সেরার মুকুট জয় করেছেন।
কুয়ালালামপুরে এই বিজয়ীর ৭ মিনিট ২০ সেকেন্ডের বক্তব্য ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। এখানে তার কাছ থেকে নিন ৫টি পরামর্শ।
সবাই তাদের বক্তব্য কোনো না কোনো বিষয় দিয়ে
শুরু করেন। কিন্তু চ্যাম্পিয়নের মতে, শুরুই হবে একটি মেসেজ দিয়ে। তার মতে দুটো উপায়ে বক্তব্য শুরু করা যায়। প্রথমত, নিজের বক্তব্য নিজেই লিখে তা বারবার
চর্চা করে মাথায় নিয়ে নিন। অথবা আসল বিষয় থেকে ভিন্ন কোনো
বিষয় উত্থাপন করুন এবং নিজের
বক্তব্যে আসুন।
দানানজায়া বলেন,
আপনার মেসেজটি
বিক্রি করার আগেই নিজে বিক্রি হয়ে যান। আর এটা করতে হবে নিজে সঠিক থেকে। আর এটি করতে তার টানা ১০ বছর লেগেছে বলে জানান তিনি। গত ১০ বছর ধরে তিনি এই প্রতিযোগিতায় অংশ
নিয়ে চারবার সেমিফাইনালে গিয়েছেন।
সেখান থেকেই শিখে
আজ এখানে। তিনি যেমন দারুণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন, তেমনি নাটকীয়তা এনেছেন বক্তব্যে।
সাধারণত বক্তারা নিজের ভেতরে গুটিয়ে যান
হল ভর্তি শ্রোতাদের দেখে। আপনার
মনে করতে হবে, যে কাজটি করতে এসেছেন তা নিজের জন্য নয়। এটি করছেন তাদের জন্য। হাত্তিয়ারাচ্চি যেভাবে বক্তব্যের শুরু করেছেন তাতে মনে হয়েছিল তিনি ২০ মিনিটের লম্বা বক্তব্য দেবেন। তিনি প্রায় ৯০ বার স্টেজের এপাশ ওপাশ করেছেন,
নিজের ছোটবেলার
গল্প করেছেন এবং পূর্ণাঙ্গ বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন ১০ মিনিটেরও কম সময়ে।
একজন আদর্শ বক্তা হয়ে ওঠার ৮০ শতাংশ সফলতা আসে চর্চা আর ভুল থেকে, জানান বিজয়ী। আর চর্চার ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো পরিবেশ
হলো দর্শকের সামনেই কথা বলা।
অর্থাৎ, এ জন্য যদি কয়েকজনকে নিয়ে একটি দল গড়তে পারেন তবে সেখানে সবচেয়ে ভালো চর্চা হবে।
এ জন্য একজন শিক্ষক প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। সেই শিক্ষক আপনাকে মানুষের সামনে বক্তব্য দেওয়ার সমর্থ করে গড়ে তুলবেন।
শিক্ষকের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজের
সম্ভাবনা, অনুভূতি এবং ভাবনা মিলিয়ে এগিয়ে যেতে থাকুন। এই বিজয়ীর জীবনেও বেশ কয়েকজন শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন এবং
সবকিছু শেষে আজ তিনি বিশ্বের সেরা
পাবলিক স্পিকার।
No comments:
Post a Comment